“যে ঘ্রাণে ঈদের সকালে মায়ের পোলাও ফুটত, সেই ঘি এখন আপনার হাতের নাগালে।”
খাঁটি ঘি চিনবো কীভাবে?
খাঁটি ঘি চেনার জন্য নিচের বৈশিষ্ট্যগুলো লক্ষ্য করুন:
🟡 ১. রঙ:
খাঁটি ঘি সাধারণত সোনালি হলুদ রঙের হয়। এটি neither too pale nor too dark. কৃত্রিম ঘি অনেক সময় অতিরিক্ত সাদা বা অস্বাভাবিক উজ্জ্বল দেখায়।
👃 ২. ঘ্রাণ:
খাঁটি গাওয়া ঘিতে থাকবে দুধের সর জ্বাল দিয়ে তৈরি একধরনের মোলায়েম ও মিষ্টি ঘ্রাণ। এটি মাখনের মতো হলেও একটু ঘন ঘ্রাণযুক্ত হয়। গরম করলে সেই ঘ্রাণ বাড়ে, কমে না।
👅 ৩. স্বাদ:
খাঁটি ঘি’র স্বাদ মসৃণ, সুগন্ধি ও একরকম ঘরে তৈরি ঘি’র মতন হয়। তিতা বা কোনো রাসায়নিক স্বাদ থাকবে না।
🧈 ৪. টেক্সচার:
ঠান্ডা হলে খাঁটি ঘি-তে প্রাকৃতিক দানাদার টেক্সচার দেখা যাবে। এই দানা হলো গাওয়া ঘি’র সবচেয়ে বড় পরিচয়। জালের বা প্রসেসড ঘিতে এই দানা হয় না।
🔥 ৫. গলানো বা গরম করলে:
খাঁটি ঘি গরম করলে ধোঁয়া বা পোড়া গন্ধ আসে না। এটি স্বচ্ছভাবে গলে যায় এবং পানির মতো ঝরঝরে থাকে।
আপনাদের ঘি এত পরিমানে তৈলাক্ত কেন?
আমাদের ঘি তৈরি হয় সিরাজগঞ্জ, শাহজাদপুরের খাঁটি গরুর দুধ থেকে সংগ্রহ করা ক্রিম দিয়ে। প্রতিদিন ৩৫–৪০ কেজি দুধ থেকে ক্রিম আলাদা করে ধীরে ধীরে জ্বাল দিয়ে তৈরি করা হয় দানাদার গাওয়া ঘি।
এই প্রক্রিয়ায় ঘিতে প্রাকৃতিকভাবে বাটারফ্যাট (Butterfat) বা আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে, যা দেখতে কিছুটা তৈলাক্ত বা তেলতেলে লাগতে পারে। তবে এই তৈলাক্তভাব কোনো ত্রুটি নয়—এটাই খাঁটি ঘি’র পরিচয়।
আপনাদের ঘি ফ্রিজে না রাখার জন্য কেন সাজেস্ট করেন?
আমাদের ঘি সম্পূর্ণ খাঁটি, প্রিজারভেটিভমুক্ত এবং পানি ছাড়া—তাই এটি ফ্রিজে রাখার কোনো প্রয়োজন হয় না। বরং ফ্রিজে রাখলে ঘির প্রাকৃতিক দানাদার গঠন নষ্ট হয়ে যায়, ঘি জমে গিয়ে শক্ত হয়ে পড়ে, ঘ্রাণও হালকা হয়ে যেতে পারে।
বাজারের অন্যান্য কোম্পানির করা জালের ঘি থেকে টুকটাক এর ঘি এর মূল্য ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা বেশি কেন?
টুকটাক ঘি-এর প্রতিটি চামচে আছে শুধু স্বাদ নয়, বিশ্বাস। আমরা শাহজাদপুরের খাঁটি গরুর দুধ থেকে প্রতিদিন ৩৫–৪০ কেজি দুধ সংগ্রহ করি, সেখান থেকে ক্রিম আলাদা করে ধাপে ধাপে জ্বাল দিয়ে ঘি তৈরি করি নিজের তত্ত্বাবধানে। এই প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ, কষ্টসাধ্য—কিন্তু এতে কোন শর্টকাট নেই।
আমরা বিশ্বাস করি, ঘি শুধু রান্নার উপকরণ নয়—এটা আপনার পরিবারের খাবার, সন্তানের পাতে দেওয়া পুষ্টি। তাই খাঁটি না হলে আমরা ঘি বানাই না।
🟡 দাম একটু বেশি, কারণ আমরা যা দেই তাতে আপোষ নেই:
✅ ৩৫–৪০ কেজি দুধ লাগে ১ কেজি ঘি বানাতে
✅ ঘি তৈরি হয় হাতে, জ্বালের উপরে, ধীরে ধীরে
✅ দানাদার টেক্সচার ও প্রাকৃতিক ঘ্রাণ অক্ষুণ্ণ
✅ কোনো প্রিজারভেটিভ, ফ্লেভার বা শর্টকাট নেই
✅ শুধু আপনার পরিবারের জন্য খাঁটি ও স্বাস্থ্যসম্মত ঘি
📌 আমরা সস্তার প্রতিযোগিতায় নামিনি।
আমরা প্রতিযোগিতা করি আপনার আস্থার সাথে — যাতে আপনি চোখ বন্ধ করে বলতে পারেন,
“এই ঘি, আমি নিশ্চিন্তে খাই।”
আপনাদের ঘি কি ক্রিম নাকি সরের থেকে উৎপন্ন করা হয়?
আমাদের ঘি তৈরি হয় খাঁটি গরুর দুধ থেকে সংগ্রহ করা প্রাকৃতিক ক্রিম দিয়ে। প্রতিদিন ৩৫–৪০ কেজি দুধ জ্বাল দিয়ে সেই দুধের উপরিভাগে যে ঘন ক্রিম (মালা) জমে — সেটি আলাদা করে আমরা ঘি তৈরি করি। এরপর সেই ক্রিমকে ধীরে ধীরে জ্বাল দিয়ে তৈরি হয় দানাদার, ঘ্রাণযুক্ত গাওয়া ঘি।
ঘি নেওয়ার কিছুদিন পরে ঘিয়ের ঘ্রাণ চলে যায় কেন?
আমাদের ঘি ১০০% খাঁটি এবং এতে কোনো ধরনের কৃত্রিম ফ্লেভার বা কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় না। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর প্রাকৃতিক ঘ্রাণ একটু হালকা হতে পারে — এটি একদম স্বাভাবিক।
যদি ঘি এমন জায়গায় রাখা হয় যেখানে আলো, বাতাস বা ভেজা চামচের সংস্পর্শ আসে, তাহলে ঘ্রাণ আরও দ্রুত কমে যেতে পারে।
তবে আশ্বস্ত থাকুন — ঘ্রাণ একটু হালকা হলেও পুষ্টিগুণ ও খাঁটিত্ব ঠিকই থাকে।
📌 টিপস: ঢাকনা ভালোভাবে বন্ধ রাখুন এবং ভেজা হাত বা চামচ ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
যেকোনো খাবারে ঘি ইউজ করলে ঘির ঘ্রাণ পাওয়া যায় না কেন?
খাঁটি ঘি খুবই সেনসিটিভ এবং তাপমাত্রা-বিষয়ক।
যদি ঘি রান্নার একদম শুরুতেই বা অতিরিক্ত গরম তেলে দেওয়া হয়, তাহলে ঘ্রাণ উড়ে যেতে পারে।
এছাড়া অনেক সময় খাবারে বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ, মসলা বা রসুন থাকলে ঘির ঘ্রাণ চাপা পড়ে যায়।
কতদিন ভালো থাকবে?
সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হলে ঘি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ভালো থাকে, প্রায় ৩-৬ মাস পর্যন্ত। তবে ঘি বেশি দিন রেখে তাপ, আর্দ্রতা থেকে রক্ষা করতে হবে।
Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.