“মায়ের রান্না শেষ হওয়ার আগে যে ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ত সারা বাড়িতে—সেই ঘ্রাণ এখন আপনি নিজের হাতে তৈরি করতে পারবেন।
শাহী মসলার মূল্য এত বেশি কেন?
টুকটাক শাহী গরম মসলা তৈরি হয় ১৮–২০টি আসল ও দুষ্প্রাপ্য দেশি–বিদেশি মসলার সংমিশ্রণে। প্রতিটি উপাদান আলাদাভাবে হালকা ভেজে, ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। কোনো রকম কেমিক্যাল বা ফ্লেভার মেশানো হয় না। এই যত্ন ও বিশুদ্ধতাই এর দামের পিছনের মূল কারণ।
শাহী গরম মসলা আর মাংসের মসলার মধ্যে পার্থক্য কী
শাহী গরম মসলা একটি ফিনিশিং স্পাইস, অর্থাৎ রান্নার শেষে বা মাঝামাঝি দেওয়া হয় ঘ্রাণ ও স্বাদ বাড়ানোর জন্য। এটি আস্ত ও দামী মসলার মিশ্রণ। অন্যদিকে মাংসের মসলা মূলত বেস রান্নার জন্য, যেখানে আদা রসুন, ধনে ইত্যাদির প্রাধান্য থাকে
এই মসলা দিয়ে কি কি রান্না করা যাবে
টুকটাক শাহী গরম মসলা দিয়ে গরু খাসি মুরগি হাঁসের মাংস, কাবাব, কাচ্চি, রেজালা, হালিম, পোলাও, বিরিয়ানি, পনির, ভেজ খিচুড়ি এমনকি সবজি বা ডালেও ব্যতিক্রমী স্বাদ আনা যায়
আপনাদের এ মসলাটিতে কি কি মসলা ব্যবহার করা হয়েছে?
আমাদের শাহী গরম মসলায় ব্যবহৃত হয়:
সবুজে এলাচ, শাহী এলাচ, দারুচিনি, জয়ফল, জয়ত্রী, কাবাব চিনি, গোলমরিচ, শাহী সাদা মরিচ, লবঙ্গ, শাহা জিরা, তেজপাতা, ধনিয়া, জিরা, মিষ্টি জিরা, পোস্ত দানা, ও ভাজা জিরা এবং ৪ ধরনের সিক্রের মশলা ।
শাহী মশলা দিয়ে রান্না করলে তরকারি কালো হয়ে যায় কেন?
যেহেতু আমাদের শাহী মসলায় অনেক আস্ত মসলা ভেজে গুড়ো করা হয়, তাই সেগুলোর প্রাকৃতিক রঙ রান্নায় গাঢ় ভাব আনতে পারে। এটি স্বাভাবিক এবং ঘ্রাণ বা স্বাদে কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না।
শাহী গরম মসলা দিয়ে রান্না করলে তিতা তিতা লাগে কেন?
মসলা বেশি দিয়ে ফেললে কিংবা খুব বেশি সময় ধরে রান্না করলে তিতা স্বাদ আসতে পারে। অনেক সময় অসাবধানতায় মশলা পাতিলের পাসে লেগে পুড়ে যায় । শাহী মসলার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট মাপে ব্যবহার করাটা গুরুত্বপূর্ণ — যেমন প্রতি ১ কেজি মাংসে ১–১.৫– চা চামচ যথেষ্ট।
শাহী গরম মসলা দিয়ে রান্না করলে ঘ্রাণ পাই না কেন?
ঘ্রাণ কম পাওয়ার প্রধান কারণ হতে পারে মসলার সংরক্ষণ পদ্ধতি। যদি প্যাকেট খোলার পর অনেকদিন রেখে দেন, বাতাস ও আর্দ্রতা এর ঘ্রাণ নষ্ট করতে পারে। এছাড়াও, রান্নায় মশলা কম দেওয়া, রান্নার তাপমাত্রা বেশি হওয়া কিংবা সঠিক সময়ে মশলা না দেওয়া হলেও ঘ্রাণ হারিয়ে যেতে পারে।
এই মসলা কতদিন ভালো থাকে
সঠিকভাবে ঠান্ডা ও শুকনো স্থানে সংরক্ষণ করলে টুকটাক শাহী গরম মসলা বারো মাস পর্যন্ত ভালো থাকে। তবে খোলা প্যাকেট বেশি দিন রেখে দিলে ঘ্রাণ হ্রাস পেতে পারে